২০১৮ সালের চিকিৎসা সহায়তা পেল ২০,২২২ জন রোগী
১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিষ্ঠা হয় রোগীকল্যাণ সমিতি। এর পর থেকে বিগত ৫৬ বছরে এই সমিতি প্রায় ৩ লক্ষ হত দরিদ্র রোগীকে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। এটি সমাজকল্যাণ অধিদফতরের নিবন্ধনকৃত একটি সংগঠন। ৫৬ বছর আগে এই সংগঠন গড়ার পিছনে যে চিন্তা ছিল তাহলো আমাদের এখানে যে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন তারা বেশির ভাগই হতদরিদ্র। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারনে সমস্ত রোগীর দায়দায়িত্ব হাসপতাল কর্তৃপক্ষ নিতে পারেনা যেহেতু হাসপাতালে আসা অসচ্ছল রোগী ও পরিত্যক্ত শিশুদের কোন অভিভাবক থাকেনা তখন তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে রোগীকল্যাণ সমিতি। এরই ধারাবাহিকতায় জানুয়ারী ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সামাজিকভাবে সেবা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১৬,১৮১ জন। আর্থিকভাবে সেবা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৪,০৪১ জন সহ সর্ব মোট ২০,২২২ জন । এছাড়া ও রোগী কল্যান সমিতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত অসহায় পীড়িত দুঃস্থ দরিদ্র ও নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন রোগীরা যাতে চিকিৎসা সেবা যথাযথ ভাবে গ্রহন করতে পারে সে জন্য পরামর্শ দিক নির্দেশনা এবং মনস্তাত্তি¡ক সহযোগীতাসহ বিভিন্ন ওয়াডে ভর্তিকৃত গরীব অসহায় রোগীদের ঔষধ পথ্য চিকিৎসা সামগ্রী চশমা ও লেন্স ও রক্ত হুইলচেয়ার, ক্র্যাচ কৃত্রিম অংগ শীতবন্ত্র, যাতায়াত এ্যম্বুলেন্স ভাড়া প্রভৃতি সাহায্য দেয়া হয়।
উল্লেখ্য রোগীকল্যান সমিতির তত্ত¡াবধানে হৃদরোগী বিভাগে রোগীর জন্য হেল্প ডেস্ক তৈরী , বান প্লাষ্টিক সার্জারী বিভাগের বারান্দায় থাই গøাস স্থাপন । শিশু ওয়ার্ডে কম্বল প্রদান, নবজাতক ওয়াডে রেপিং টাওয়াল প্রদান, সাজার্রী ওয়াডের এক জন বেসরকারী আয়ার বেতন প্রদান এবং অজানা শিশু আরাফাতের লালন পালনকারী রুমা বেগম এর বেতন ভাতা প্রদান করা হয়।
রোগীকল্যান সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হয় উপদেষ্ঠা পরিষদের মাধ্যমে। উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য ৫ জন । আরেকটি হচ্ছে কার্যকরী পরিষদ। কার্যকরী পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২৫ জন। কার্যকরী পরিষদের সভাপতি হচ্ছেন হাসপাতালের পরিচালক। সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলূ পরোক্ষভাবে আমাদের হাসপাতালে পরিচালনা পরিষদের সংগে জড়িত। এছাড়া ও রয়েছেন সিটি মেয়র আ.জ.ম নাসির উদ্দীন।