১০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা
অসহায় ও দুস্থ রোগীদের কল্যানে নিয়োজিত সমাজসেবা অধিদফতরাধীন চট্টগ্রাম মেডিাকেল কলেজ হাসপাতাল রোগীকল্যাণ সিমিতি ১০ কোটি টাকার একটি স্থায়ী তহবিল সংগ্রহের উদ্যেগ গ্রহন করেছে। আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে যে দান বা যাকাতের অর্থ পাই তা বছরে ৬০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মত । সরকার থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে টাকার পরিমান দাড়ায় ১ কোটি ৮০লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকায় চমেক হাসপাতালে আসা রোগীদের চাহিদা পূরুন করা সম্ভব না হওয়ায় এই তহবিল করার সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে সিটি মেয়র এক সংবাদ সম্মেলনে ১ ০ কোটি টাকার একটি ফান্ড গঠনের ঘোষনা দেন। ২০১৮ এর এপ্রিল মাসে । ফান্ড ঘোষনা দেয়ার পর পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ফান্ডে ১ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন। স্মার্ট গ্রæপের চেয়ারম্যান জনাব আলাহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এছাড়া প্যাসিফিক জিন্স টি কে গ্রæপসহ বিভিন্ন শিল্প গোষ্টি ও দানবীরগণ ১০ কোটি টাকার তহবিলে অর্থ দানের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন।
মাহবুবুল আলম ঃ ২০১৬ ইং সালের ৩রা রমজানের দিন সকালে প্রতিদিনের মতই টমটমে চড়ে কাজে যাচ্ছিলেন মাহবুবুল আলম। হটাৎ টমটম গাড়ী উল্টে যায়। ফলাফল ঝঢ়রহধষ পড়ৎফ রহলঁৎু সে তার শরীরের কোমর থেকে নিচের দিকে দুই পায়ের অনুভুতি শক্তি হারিয়ে চলনশক্তি হীন হয়ে পড়ে। এর পর তাকে ভর্তি করানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোগীকল্যান সমিতি তাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করত। প্রথমে তাকে ভর্তি রাখা হয় অর্থোপেডিকস ডিপার্টমেন্টে। এর পর নিউরো সার্জারী ডিপার্টমেন্টে। চিকিৎসায় আশানুরুপ ফলাফল না আসায় তাকে ঢাকা সাভারে অবস্থিত পক্ষঘাত গ্রস্থদের পূর্ণবাসন কেন্দ্র সি আর পি তে চিকিৎসা নেয়ার পর বর্তমানে সে অনেকটাই সুস্থ আছে। সে হাঁটতে না পারলে ও হুইল চেয়ার ব্যবহার করে চারিদিকে চলাফেরা করতে পারছে। তাকে সমাজে নতুন করে পূনবাসনের লক্ষ্যে রোগীকল্যান সমিতির আর্থিক সহযোগিতায় তার গ্রামের বাড়ীতে তাকে একটি দোকনের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। যাতে সে এই দোকান পরিচালনার মাধ্যমে তার পরিবারে ভরনপোষনের ব্যবস্থা করতে পারে। বর্তমানে সে হুইল চেয়ার এ বসে তার দোকান পরিচালনা করছেন এবং নুতন করে বাচাঁর স্বপ্ন দেখছেন।